মঙ্গলবার , ১৭ জুন, ২০২৫ | ৩ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:১১ ২৯ নভেম্বর ২০২৪
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের চৌরাকররা-চৌধুরী মালঞ্চ সড়কের করুণ দশা দীর্ঘ ১৫ বছরেও সমাধান হয়নি। মাত্র ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সড়কটি মগড়া ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের প্রায় ২৫০০ মানুষের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। বৃষ্টিতে সড়কটি পানিতে ডুবে যায় এবং চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়ে।
সড়কটি বিভিন্ন স্থানে খানা-খন্দে ভরা, এবং বর্ষার সময় সেগুলো কাদার ভাগাড়ে পরিণত হয়। যানবাহনগুলো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে, যার ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। অসুস্থ রোগী, স্কুলগামী শিক্ষার্থী, এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার জনপ্রতিনিধিদের কাছে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানালেও কোনো ফল পাননি।
মাইন উদ্দীন (৭২), অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক: শিক্ষার্থীদের জন্য সড়কটি এক ভয়াবহ প্রতিবন্ধকতা। দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার ঝুঁকি সবসময় থাকে।
তায়েজ উদ্দীন (৭৪): বৃষ্টিতে রাস্তাটি সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে যায়। সড়কের খারাপ অবস্থার কারণে একটি রিকশা উল্টে যাত্রী গুরুতর আহত হয়।
মো. সেলিম (৪৫), পল্লী চিকিৎসক: প্রায় দুই দশক ধরে আশ্বাস দেওয়া হলেও রাস্তার উন্নয়ন হয়নি।
গুরুত্বপূর্ণ সড়ক চৌরাকররা বাজার, যা পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বাজার হিসেবে পরিচিত, এই সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত। শ্রমজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী, এবং ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন এই সড়ক ব্যবহার করেন। কিন্তু সড়কের দুরবস্থার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যেও প্রভাব পড়েছে।
স্থানীয়দের আহ্বান দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও সড়কটি সংস্কার হয়নি। স্থানীয়রা কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করে তাদের দুর্ভোগ লাঘব করার জন্য।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের করণীয়
১. সড়কটি অবিলম্বে মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করা।
২. টেকসই উন্নয়নের জন্য সঠিক পরিকল্পনায় কাজ করা।
৩. স্থানীয় জনগণের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের চাহিদা বোঝা এবং তা পূরণ করা।
একটি সাধারণ সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে এত মানুষের জীবনে যে প্রভাব পড়ছে, তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।
বিজ্ঞাপন