মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট পাচ্ছেন শ্রাবন্তী!

মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট পাচ্ছেন শ্রাবন্তী!

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৯:৪২ ৭ আগস্ট ২০২৫

টালিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে ফের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। গত ২১ জুলাই কলকাতার শহীদ মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় উপস্থিত ছিলেন তিনি। মঞ্চে বসা থেকে শুরু করে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতায় তাঁর নাম উচ্চারিত হওয়া— সব মিলিয়ে রাজনীতির অন্দরমহলে সৃষ্টি হয়েছে নতুন কৌতূহল।

এই ঘটনা ঘিরে প্রশ্ন উঠছে— তবে কি শ্রাবন্তী আবারও ভোটের ময়দানে ফিরছেন? গুঞ্জন অনুযায়ী, বেহালা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী হতে পারেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির হয়ে এই কেন্দ্র থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পরাজিত হন।

সেই নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেন শ্রাবন্তী। ধীরে ধীরে দল থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন এবং সামাজিক মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দলত্যাগ করেন। এরপর দীর্ঘ সময় রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন তিনি। তবে এবারের শহীদ দিবসের মঞ্চে তাঁর সক্রিয় উপস্থিতি আবারও রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে এনে দিয়েছে তাঁকে।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারের পর থেকে বেহালা পশ্চিম কার্যত নেতৃত্বহীন হয়ে পড়েছে। উন্নয়ন ও জনসেবার অভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে নতুন বার্তা দিতে— আর সেই নতুন মুখ হিসেবে শ্রাবন্তীর নাম উঠে আসছে অগ্রভাগে।

শহীদ মঞ্চে সংবাদমাধ্যমে শ্রাবন্তী বলেন, “মানুষের পাশে থাকাটাই আসল পূজা। যতটা পারি, পাশে থাকতে চাই। আর যদি সেটা বেহালা পশ্চিম হয়, তাহলে তো নিজের ভিটেই।” তাঁর এই বক্তব্য নতুন করে সম্ভাবনার দরজা খুলে দেয়।

তৃণমূলের অন্দরমহলে এ নিয়ে রয়েছে ভিন্নমত। কেউ কেউ তাঁর প্রতি ইতিমধ্যে সমর্থন জানালেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। কাউন্সিলর সজল ঘোষ মন্তব্য করেছেন, “আমি ওর ফ্যান। বিধানসভায় এমন প্রাণবন্ত লোক দরকার।” অন্যদিকে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, “এটা পুরোপুরি দলের সিদ্ধান্ত। যা কিছু হবে, দলনেত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেই হবে।”

শ্রাবন্তী নিজেও বাস্তবতা অনুধাবন করেছেন। তিনি বলেন, “রাজনীতি এত সোজা নয়। কীভাবে মানুষের পাশে থাকতে হয়, কাজ করতে হয়— তা শিখতে হবে।” এতে তাঁর পরিণত রাজনৈতিক চিন্তা ও দায়িত্ববোধের প্রকাশ পাওয়া যায়।

সব মিলিয়ে, তৃণমূল কংগ্রেস যদি শ্রাবন্তীকে প্রার্থী করে, তবে তা হবে এক সাহসী ও কৌশলী সিদ্ধান্ত। যদিও তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা সীমিত, তবুও জনপ্রিয়তা, জনসংযোগ ও ক্যারিশমার দিক থেকে তিনি অনেক এগিয়ে। এখন দেখার বিষয়— এই তারকাখ্যাতিকে তৃণমূল কতটা রাজনৈতিক শক্তিতে রূপ দিতে পারে।

বিজ্ঞাপন