বুধবার , ০৭ মে, ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৫১ ৫ মে ২০২৫
চিকিৎসকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ হারাচ্ছেন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা। এখন থেকে তারা আর হাসপাতাল বা ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করে ওষুধ প্রচার করতে পারবেন না। তাদেরকে ই-মেইলের মাধ্যমে ওষুধ সংক্রান্ত তথ্য পাঠাতে হবে। স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত কমিশনের আজকের প্রতিবেদনে এই প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
সোমবার (৫ মে) সকাল ১১টায় স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ করে। প্রতিবেদনে দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতকে আরও স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আধুনিক করতে বেশ কিছু যুগান্তকারী প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
সবচেয়ে আলোচিত প্রস্তাবগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো চিকিৎসকদের পেশাদার সিদ্ধান্ত গ্রহণে ওষুধ কোম্পানির প্রভাব রোধ। এক্ষেত্রে বিক্রয় প্রতিনিধিদের সরাসরি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে যাওয়া বন্ধের সুপারিশটি বিশিষ্ট গুরুত্ব পেয়েছে।
এছাড়া কমিশন ৭টি নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কমিশন আইন
বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস আইন
প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা আইন
স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন
ওষুধের মূল্য নির্ধারণ ও প্রবেশাধিকার আইন
অ্যালায়েড হেলথ প্রফেশনাল কমিশনার আইন
বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কমিশনার আইন
কমিশন গঠিত হয় গত বছরের ১৭ নভেম্বর, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খানকে প্রধান করে। ১২ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিশনে যুক্ত রয়েছেন দেশের স্বাস্থ্যখাতের খ্যাতনামা চিকিৎসক, প্রশাসক ও গবেষকেরা।
কমিশনের সদস্যরা হলেন:
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাকির হোসেন, অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী, অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার, অধ্যাপক ডা. নায়লা জামান খান, সাবেক সচিব এস এম রেজা, অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক, ডা. আজহারুল ইসলাম খান, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, ডা. আহমেদ এহসানুর রাহমান এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী উমায়ের আফিফ।
স্বাস্থ্যখাতে অনিয়ম, স্বার্থ সংঘাত ও বাণিজ্যিক প্রভাব হ্রাস করে রোগীদের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতেই এসব সুপারিশ দেওয়া হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন