মঙ্গলবার , ১৭ জুন, ২০২৫ | ৩ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৬:১৬ ২০ মে ২০২৫
স্যাটেলাইট-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। সোমবার (১৯ মে) ফোনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় এবং মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে এক ঘোষণায় বিষয়টি সর্বসাধারণের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, সোমবার বিকেলে স্টারলিংকের প্রতিনিধিরা তাকে ফোন করে বাংলাদেশে তাদের সেবা শুরুর বিষয়টি জানায়। এর পরদিন সকালে প্রতিষ্ঠানটি তাদের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করে। তিনি বলেন, স্টারলিংক প্রাথমিকভাবে দুটি প্যাকেজ নিয়ে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করছে— ‘স্টারলিংক রেসিডেন্স’ ও ‘রেসিডেন্স লাইট’। এই প্যাকেজগুলোর মাসিক খরচ যথাক্রমে ৬,০০০ টাকা এবং ৪,২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে এই সেবাগুলো ব্যবহারের জন্য গ্রাহকদের এককালীন ৪২,০০০ টাকার সেটআপ যন্ত্রপাতি কিনতে হবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই সেবাগুলোর ক্ষেত্রে কোনো ডেটা সীমা বা গতি সীমা নেই। ব্যবহারকারীরা সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সেবা উপভোগ করতে পারবেন।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, “আজ থেকেই বাংলাদেশের গ্রাহকরা স্টারলিংকের সেবা অর্ডার করতে পারবেন। এতে করে প্রধান উপদেষ্টার ৯০ দিনের মধ্যে যাত্রা শুরুর প্রত্যাশা সফলভাবে বাস্তবায়িত হলো।” তিনি বলেন, যদিও সেবার খরচ তুলনামূলক বেশি, তবে এটি দেশের প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য একটি নিরবচ্ছিন্ন, নির্ভরযোগ্য এবং টেকসই উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা হিসেবে কাজ করবে। বিশেষ করে দেশের যেসব অঞ্চল এখনো ফাইবার সংযোগ কিংবা দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আসেনি, সেই এলাকাগুলোর এনজিও, ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তারা এই সেবার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্যভাবে উপকৃত হবেন।
তিনি আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টা এই উদ্যোগকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে আখ্যা দিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, স্টারলিংক বাংলাদেশে সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার একটি নতুন বাজারে প্রবেশ করল। এতে করে দেশের দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছানোর নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হলো।
বিজ্ঞাপন