ভারতের হামলা: বেশির ভাগ আঘাত মসজিদে, অভিযোগ ইসলামাবাদের

ভারতের হামলা: বেশির ভাগ আঘাত মসজিদে, অভিযোগ ইসলামাবাদের

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৩:৫৭ ৭ মে ২০২৫

নতুন দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যকার উত্তেজনা আরও এক ধাপ বেড়ে গেল ভারতের মধ্যরাতের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর জেরে। সোমবার গভীর রাতে পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে বিমান হানা চালায় ভারতীয় বিমানবাহিনী। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, এই হামলা ছিল সুনির্দিষ্ট ‘অ্যান্টি-টেরর অপারেশন’, যার মূল লক্ষ্য ছিল সীমান্তপারের একাধিক সক্রিয় জঙ্গিঘাঁটি।

তবে পাকিস্তানের পাল্টা দাবি, ভারতীয় বিমান হানায় বেশ কয়েকটি মসজিদ ও জনবসতি লক্ষ্যবস্তু হয়েছে, যার ফলে সাধারণ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। ইসলামাবাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, “ভারতের বিমান হামলা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। মসজিদ ও গ্রাম্য এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে, যা ধর্মীয় ও নাগরিক জীবনের ওপর সরাসরি আঘাত।”

এই প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, খাইবার পাখতুনখোয়ার বান্নু ও উত্তর ওয়াজিরিস্তান এলাকায় রাত ২টার পরপরই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। একাধিক মসজিদ ও গৃহস্থ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। যদিও পাকিস্তান এখনও ক্ষয়ক্ষতির সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেনি।

অন্যদিকে ভারতীয় সরকারি সূত্র দাবি করেছে, হামলার আগে গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নির্ভুলভাবে জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সূত্র জানায়, হামলায় অন্তত তিনটি সক্রিয় জঙ্গি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে এবং বহু জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা।

বিশ্লেষকদের মতে, পুলওয়ামা বা উর হামলার মতো অতীত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারতের এই পদক্ষেপ নতুন কিছু নয়। তবে এই হামলার ফলস্বরূপ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই ঘটনার জেরে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই ধরনের সামরিক উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।

বিজ্ঞাপন