খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তনে যা জানালেন সারজিস আলম!

খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তনে যা জানালেন সারজিস আলম!

নিজস্ব প্রতিবেদক, মোরনিউজবিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৯:১০ ৬ মে ২০২৫

দীর্ঘ চার মাস চিকিৎসা শেষে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার এই প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।

মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এক বিবৃতি প্রকাশ করে সারজিস আলম এ বার্তা দেন।

সেখানে তিনি লিখেন,

dhakapost
“বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশে স্বাগতম। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, জুলাই অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের আপামর ছাত্র-জনতা যে আকাঙ্ক্ষাগুলোকে বুকে ধারণ করে অকাতরে রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে; সেই আকাঙ্ক্ষাগুলোকে সামনে রেখে তিনি এবং তার দল বিএনপি আপসহীনভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় দেশের স্বার্থকে সর্বাগ্রে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে যাবেন। তার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা ও নাগরিক অধিকার রক্ষায় খালেদা জিয়ার ভূমিকা অতীতে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল, ভবিষ্যতেও তেমনি প্রাসঙ্গিক থাকবে।

চার মাস ধরে লন্ডনে চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন বেগম জিয়া। তার সঙ্গে একই ফ্লাইটে দেশে ফেরেন দুই পুত্রবধূ — ডা. জোবাইদা রহমান (তারেক রহমানের স্ত্রী) এবং সৈয়দা শর্মিলা রহমান (আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী)।

বেগম খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কৌশল ও সাংগঠনিক গতিধারায় নতুন মাত্রা যুক্ত হতে পারে এই প্রত্যাবর্তনের ফলে।

তবে খালেদা জিয়া এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন। দেশে ফিরেও তাকে বিশেষায়িত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাখা হবে বলে জানা গেছে। যদিও তার সরাসরি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ এখনই অনিশ্চিত, তবে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা প্রদান অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বেগম জিয়ার ফেরাকে বিরোধী রাজনীতির প্রেক্ষাপটে একটি তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, বিশেষ করে দেশের চলমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় যেখানে গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা ও নাগরিক অধিকার বারবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।
 

বিজ্ঞাপন