মঙ্গলবার , ১৭ জুন, ২০২৫ | ৩ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৭:১৬ ২ জুন ২০২৫
নেইমারের মাঠে ফেরার লড়াই চলছিল অনেকদিন ধরেই। ইনজুরি কাটিয়ে ক্লাব ফুটবলে ফিরলেও জাতীয় দলের জার্সিতে তার প্রত্যাবর্তনের জন্য এখনও অপেক্ষা করতে হচ্ছে ভক্তদের। ব্রাজিলের নতুন কোচ কার্লো আনচেলত্তি স্পষ্ট জানিয়েছেন, পুরোপুরি ফিট না হওয়া পর্যন্ত নেইমারকে দলে নেওয়া হবে না।
তবে এর মাঝেই বিতর্কিত এক ঘটনার কারণে আবারো আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। ব্রাজিলিয়ান লিগের ১১তম ম্যাচডেতে বোটাফোগোর বিপক্ষে সান্তোসের হয়ে মাঠে নামেন নেইমার। মার্চ মাসের পর এটিই ছিল তার প্রথমবার শুরুর একাদশে জায়গা পাওয়া। ম্যাচটি ছিল তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু শেষটা হলো এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মাধ্যমে।
প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ফাউল করে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন নেইমার। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৭৬ মিনিটে গনজালো এস্কোবারের একটি পাস বক্সে গিয়ে পড়ে। বোটাফোগোর গোলরক্ষক ভিক্টর সেটি ঠেকিয়ে দেন। ফিরতি বলটি নেইমার হাত দিয়ে গোলপোস্টে ঠেলে দেন। রেফারি সঙ্গে সঙ্গেই দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখান, যা পরিণত হয় লাল কার্ডে।
এই লাল কার্ড নেইমারের জন্য যেমন বিব্রতকর, তেমনি সান্তোসের জন্যও ছিল দুঃসংবাদ। দশজনের দলে পরিণত হওয়া সান্তোস এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ৮৬ মিনিটে বোটাফোগোর আর্তুর গিমারেস গোল করে ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করে দেন। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে হেরে মাঠ ছাড়ে সান্তোস।
এই হারের ফলে পয়েন্ট টেবিলে আরও পিছিয়ে পড়ে সান্তোস। ১১ ম্যাচে তাদের অর্জন মাত্র ৮ পয়েন্ট, যা তাদের রেলিগেশন জোনে ঠেলে দিয়েছে। অন্যদিকে বোটাফোগো ১০ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নবম স্থানে রয়েছে। শীর্ষে রয়েছে ফ্ল্যামেঙ্গো, যাদের পয়েন্ট ২৪।
নেইমারের এই আচরণ নিয়ে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, জাতীয় দলে ফেরার জন্য মাঠে প্রমাণ রাখার বদলে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাণ্ড নেইমারের ক্যারিয়ারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এখন দেখার বিষয়, তিনি কিভাবে এই বিতর্ক থেকে বের হয়ে মাঠে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেন।
বিজ্ঞাপন