সোমবার , ৩০ জুন, ২০২৫ | ১৬ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:০৪ ২৯ জুন ২০২৫
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খানের অপসারণ এবং কর্মকর্তাদের বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে দেশজুড়ে কাস্টমস, শুল্ক ও কর অফিসগুলোতে চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি। এর অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) সকাল থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরেও বন্ধ রয়েছে সব ধরণের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম। ফলে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই স্থলবন্দরটি।
বন্দরের পণ্য শুল্কায়ন, পরীক্ষণ, ট্রাকের লোড-আনলোডসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এর ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন এখানকার চার থেকে পাঁচ হাজার শ্রমিক। ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম ক্ষতির মুখে। পাশাপাশি সরকার প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে বলে জানা গেছে।
ভোমরা ও ভারতের বিপরীত ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে বর্তমানে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ে আছে। আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় ট্রাকগুলো বন্দরের ভেতরেই দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে আছে। এতে করে পণ্য পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ডেমারেজ।
ভোমরা সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী ওহিদুল ইসলাম বলেন, কাস্টমস কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাটডাউনে অংশ নেওয়ায় কোনো কার্যক্রমই পরিচালনা করা যাচ্ছে না। ফলে বন্দর কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
ঢাকা থেকে আসা কর্ণফুলী ফার্ম এবং একটি টেক্সটাইল মিলের পণ্যবাহী ট্রাকচালক জয়নাল আবেদীন ও আবু মুসা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলেই তারা বন্দরে পৌঁছান। কিন্তু এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকে শুরু হওয়া এই শাটডাউনের কারণে এখনো তারা পণ্য ভারতে পাঠাতে পারেননি। তারা বলেন, "পণ্য আটকে থাকায় আমাদের মালিকদের প্রতিদিন বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে।"
ভোমরা কাস্টমস স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাসেল আহমেদ জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালন করা হচ্ছে। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের ব্যবসায়ীরাই পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। রাজস্ব আদায়ে বড় ধাক্কা খাচ্ছে সরকার। তবে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এই কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকায় সীমিত আকারে যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বিজ্ঞাপন