সোমবার , ১১ আগস্ট, ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৮:১৫ ৯ আগস্ট ২০২৫
পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী দাবি করেছে, তারা লাহোরের মানাওয়ান এলাকায় একটি ভারতীয় নজরদারি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। শুক্রবার (৮ আগস্ট) জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশের পরই ড্রোনটির গতিবিধি শনাক্ত করে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে নিরাপত্তা বাহিনী। ড্রোনটিতে কোনো বিস্ফোরক না থাকায় ধারণা করা হচ্ছে, এটি শুধুমাত্র নজরদারি কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়েছিল।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক রক্তক্ষয়ী সংঘাত শেষ হয়েছে গত ১০ মে। সীমান্তে আপাত শান্তি বিরাজ করলেও পাকিস্তানের আকাশে ভারতীয় ড্রোন ওড়ার ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, এটি নিঃসন্দেহে ভারতের নজরদারি ড্রোন। তবে এ বিষয়ে ভারত কোনো মন্তব্য করেনি।
অন্যদিকে, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ইসরায়েলি অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি জানান, যুদ্ধে ভারতীয় সেনারা ইসরায়েলের তৈরি হারফি ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন উন্নত অস্ত্র ব্যবহার করেছে এবং এসব অস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
সংঘাত থেমে গেলেও দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কথার লড়াই অব্যাহত রয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলে, পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগের (আইএসপিআর) প্রধান লেফটন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরি পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে ভারত কোনো আগ্রাসন চালালে পাকিস্তান সরাসরি ভারতের বাণিজ্যিক অঞ্চলে পাল্টা হামলা চালাবে। তিনি কলকাতা, জামশেদপুর, রাঁচি প্রভৃতি অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্রকে সম্ভাব্য টার্গেট হিসেবে উল্লেখ করেন।
এদিকে, ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বন্ধে নিজেদের ভূমিকা থাকার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় এক বক্তব্যে বলেন, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে ওয়াশিংটনের সক্রিয় ভূমিকা ছিল এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তিনি ‘প্রেসিডেন্ট অব পিস’ আখ্যা দেন। তবে ভারত এখনও পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত সমাধানে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা প্রত্যাখ্যান করছে।
বিজ্ঞাপন