Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস: জানুন বাঁশের অজানা রহস্য ও বিস্ময়কর তথ্য

আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস: জানুন বাঁশের অজানা রহস্য ও বিস্ময়কর তথ্য

আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস: জানুন বাঁশের অজানা রহস্য ও বিস্ময়কর তথ্য

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৬:২৩ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে হাজার বছর ধরে মানুষের জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি, শিল্প ও স্থাপত্যের সঙ্গে বাঁশ নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে। তবে বাঁশকে ঘিরে রয়েছে অনেক অজানা তথ্য ও রহস্যময় বৈশিষ্ট্য, যা একে সাধারণ উদ্ভিদ থেকে আলাদা করে তোলে।

প্রথমেই উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো বাঁশের অবিশ্বাস্য বৃদ্ধি। এটি পৃথিবীর দ্রুততম বর্ধনশীল উদ্ভিদের মধ্যে অন্যতম। কিছু প্রজাতির বাঁশ প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৪০ মিলিমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে এবং মাত্র একদিনে প্রায় এক মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে যায়। এত দ্রুত বৃদ্ধি অন্য কোনো উদ্ভিদে সচরাচর দেখা যায় না। এই বৈশিষ্ট্যের জন্য বাঁশকে অনেকে প্রকৃতির বিস্ময় হিসেবেই মনে করেন।

বাঁশের আরেকটি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য হলো এর জীবনচক্র। অনেক প্রজাতির বাঁশ একসঙ্গে হঠাৎ ফুল ফোটায়, যা অত্যন্ত বিরল একটি ঘটনা। আশ্চর্যের বিষয়, ফুল ফোটার পর বাঁশ ফল উৎপন্ন করে, কিন্তু সেই সঙ্গে প্রচণ্ড শক্তি ব্যয়ের কারণে পুরো বাঁশঝাড়টি মারা যায়। শুধু তাই নয়, মূল ঝাড় থেকে নেওয়া কোনো চারা অন্যত্র লাগানো হলেও সেই চারা থেকে জন্মানো গাছও মূল ঝাড়ের মৃত্যুর সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে মারা যায়। একে বলা যায় বাঁশের জিনগত সংযোগের এক রহস্যময় প্রভাব।

বাঁশের ফুল থেকে উৎপন্ন ফলও বেশ বিস্ময়কর। এগুলো জলপাইয়ের চেয়েও বড় হতে পারে। ভারত ও চীনের কিছু অঞ্চলে এই ফল থেকে তৈরি চালকে “বাঁশের চাল” নামে ব্যবহার করা হয়, যা খাদ্যতালিকার একটি বিশেষ উপাদান হিসেবে পরিচিত।

শুধু জৈব বৈশিষ্ট্য নয়, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক দিক থেকেও বাঁশের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। বাংলার গ্রামীণ জীবনে বাঁশ একটি অপরিহার্য উপাদান। ঘরবাড়ি নির্মাণ, দৈনন্দিন ব্যবহার্য সামগ্রী তৈরি, উৎসব, লোকসংস্কৃতি এমনকি লোককাহিনিতেও বাঁশের উপস্থিতি স্পষ্ট। বাংলার গ্রামীণ কাহিনিতে “বাঁশবাগানের ভূত” নিয়ে অনেক গল্প প্রচলিত আছে, যেখানে বলা হয় বাঁশঝাড়ে অলৌকিক সত্তার অস্তিত্ব রয়েছে।

বাংলাদেশের ইতিহাসেও বাঁশের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এর উজ্জ্বল উদাহরণ হলো তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময় তিতুমীর বাঁশ দিয়ে একটি দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন, যা তাঁর দেশপ্রেম ও প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়। সেই বাঁশের কেল্লা আজও ইতিহাসে বাঁশের সামাজিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বকে তুলে ধরে।

সর্বোপরি, বাঁশ শুধু একটি গাছ নয়, বরং প্রকৃতি, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এক অনন্য প্রতীক। তাই বিশ্ব বাঁশ দিবসে এর এই অজানা তথ্যগুলো জানার মাধ্যমে আমরা প্রকৃতির এক বিস্ময়কর উপহারকে নতুনভাবে উপলব্ধি করতে পারি।

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/