সোশ্যাল মিডিয়ায় খালেদা জিয়ার পুরনো ভিডিও ভাইরাল!

সোশ্যাল মিডিয়ায় খালেদা জিয়ার পুরনো ভিডিও ভাইরাল!

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ১০:২১ ৫ মে ২০২৫

২০১৫ সালের একটি ভাষণে দেশ ও মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসার কথা বলেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন; বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেই ভিডিও ঘিরে চলছে নতুন করে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ২০১৫ সালের একটি পুরনো ভিডিও। ভিডিওটিতে খালেদা জিয়া নিজের দেশপ্রেম, পারিবারিক ত্যাগ ও রাজনৈতিক দায়িত্ববোধের কথা তুলে ধরেছিলেন। ভাষণটি সম্প্রতি ফেসবুক, এক্স (সাবেক টুইটার) এবং ইউটিউবসহ নানা মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে।

২০১৫ সালে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া ওই বক্তব্যে বেগম জিয়া বলেন,

“দেশের বাইরে আমার কোনো ঠিকানা নেই। এটাই হলো আমার ঠিকানা। এই দেশ, এই দেশের মাটি ও মানুষই আমার সবকিছু।”

তিনি আরও বলেন,“অনেকদিন আপনারা দেখেছেন যে পরিবার থেকে আমরা দূরে রয়েছি। সেজন্যই আমি পরিবারের সঙ্গেই এবার সময় কাটানোর জন্য এখানে এসেছি। এবং আমি আমার চিকিৎসা করেছি, আল্লাহর রহমতে আমি ভালো আছি, সুস্থ আছি।”

পারিবারিক প্রেক্ষাপটের পাশাপাশি খালেদা জিয়া রাজনৈতিক দায়িত্বের দিকটিও স্পষ্ট করে বলেন,“পরিবার বহুদিন পর দেখা পেয়েছে, কাজেই তারা আমাকে ছাড়তে চায় না, আরও কিছুদিন থাকতে বলছে। কিন্তু আপনারা সবাই জানেন, দেশের কী অবস্থা। এই মুহূর্তে দেশে যাওয়া আমার জন্য প্রয়োজন।”

এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকেই বলছেন, এ বক্তব্য খালেদা জিয়ার দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ ও রাজনীতির প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিচ্ছবি। ভিডিওটি শেয়ার করে অনেকে লিখেছেন, "রাজনীতির মতপার্থক্য থাকলেও খালেদা জিয়ার এই বক্তব্যে দেশপ্রেমের প্রতিধ্বনি স্পষ্ট।"

অন্যদিকে, কেউ কেউ বলছেন, বর্তমান রাজনৈতিক ও মানবিক প্রেক্ষাপটে এই ভিডিও নতুন তাৎপর্য বহন করছে। তারা খালেদা জিয়ার অতীত ভূমিকা ও বর্তমান অবস্থার মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করছেন।

উল্লেখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থতার কারণে গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন এবং তার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কও বহুদিন ধরেই চলমান।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ভিডিও নতুন করে ভাইরাল হওয়া খালেদা জিয়ার প্রতি সহানুভূতি ও সমর্থন জোগাতে পারে, বিশেষ করে তার শারীরিক অবস্থা এবং বিচার-বহির্ভূত মুক্তির প্রশ্নে।

এখন দেখার বিষয়, এই ভিডিওর পুনঃউত্থাপন রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলে এবং জনগণের ভাবনায় কতটা জায়গা করে নেয়।

বিজ্ঞাপন