Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

ভারতের “র” এর এজেন্ট ছিলেন এনএসআই কর্মকর্তা বদরুল, পলাশ

ভারতের “র” এর এজেন্ট ছিলেন এনএসআই কর্মকর্তা বদরুল, পলাশ

ভারতের “র” এর এজেন্ট ছিলেন এনএসআই কর্মকর্তা বদরুল, পলাশ

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৭:০১ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই)-এর তিন কর্মকর্তা বিদেশে পালিয়ে গেছেন। এর মধ্যে দুজন ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন এবং সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ নথিও চুরি করে নিয়ে গেছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। পলাতক কর্মকর্তারা হলেন যুগ্ম পরিচালক বদরুল আহমেদ (বিদ্যুৎ), উপ-পরিচালক আমিনুল হক পলাশ এবং সহকারী পরিচালক তানভীর হোসেন খন্দকার। তারা দুবাই কনস্যুলেট, কলকাতা মিশন এবং ঢাকা থেকে পালিয়েছেন। আমিনুল হক পলাশ বিকল্প পাসপোর্ট ব্যবহার করে ভারত থেকে ব্রিটিশ ভিসা নিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গেছেন, তবে অন্য দুই কর্মকর্তার অবস্থান এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আমিনুল হক পলাশ তৎকালীন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার প্রধান কারিগর হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি কূটনৈতিক পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও বেআইনি সবুজ পাসপোর্ট ব্যবহার করে ব্রিটিশ ভিসা নেন এবং বর্তমানে লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। পলাতক বদরুল আহমেদও ‘র’-এর হয়ে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি ২০১৮ সালের রাতের ভোট এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনী কারচুপির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ ছাড়া, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক টিএম জোবায়েরের বিদেশে টাকা পাচারেও তার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে সহকারী পরিচালক তানভীর হোসেন খন্দকার জাল সনদপত্র দিয়ে এনএসআইতে চাকরি নেন। তার বাবা র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেনও বর্তমানে পলাতক। তানভীরের বিরুদ্ধে সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ নথি সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এনএসআই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিন কর্মকর্তার পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সত্য এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে পলাতক আমিনুল হক পলাশের বিষয়ে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৬-কে অবহিত করা হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব কর্মকর্তার রাজনৈতিক ও শৃঙ্খলাভঙ্গমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে ফাইল পাঠানো হয়েছে।

আমিনুল হক পলাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা সাজিয়েছেন এবং তাকে হয়রানি করার নানা কৌশল অবলম্বন করেছেন। এসব মামলার উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ড. ইউনূসের সম্মান ক্ষুণ্ন করা। নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে ১৬৮টি মামলা দায়ের করা হয়, যার বেশিরভাগই ছিল শ্রম আদালতে। এ সময় আদালতে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া, লিফট ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, অস্বাভাবিকভাবে সিঁড়ি ব্যবহার করতে বাধ্য করা—এর মতো হয়রানির ঘটনাও ঘটেছে।

এনএসআইয়ের সহকারী পরিচালক তানভীর হোসেনের ক্ষেত্রেও নানা অভিযোগ রয়েছে। প্রশিক্ষণকালীন সময়ে তিনি একাধিকবার শৃঙ্খলাভঙ্গ করেন এবং মাদক সেবনের অভিযোগ ওঠে। তদন্তে তার মাস্টার্স সার্টিফিকেট জাল প্রমাণিত হয়। প্রশিক্ষণে অকৃতকার্য হওয়ার পরও তিনি চাকরিতে বহাল থাকেন, কিন্তু ২০২৪ সালের অক্টোবরে পলাতক হয়ে যান।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তাকে মামলায় জড়িয়েছিলেন। এ বিষয়ে অনেক দেশ, আন্তর্জাতিক সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব প্রতিবাদ করলেও তৎকালীন সরকার তাদের উপেক্ষা করে। ড. ইউনূসকে খাঁচার ভেতরে দাঁড় করানো থেকে শুরু করে আদালতে অস্বাভাবিক হয়রানি করা পর্যন্ত নানা অপমানজনক পরিস্থিতির শিকার হতে হয়।

এনএসআই বলেছে, বর্তমান কর্তৃপক্ষ সংস্থার ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট এবং সব ধরনের অনিয়ম ও বেআইনি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পলাতক কর্মকর্তাদের বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তদন্ত দ্রুত শেষ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

 

সূত্রঃ দৈনিক আমার দেশ

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/