Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

এক সপ্তাহে ব্যাংক থেকে ১৩ কোটি টাকা তোলেন বেনজীর আহমেদ

এক সপ্তাহে ব্যাংক থেকে ১৩ কোটি টাকা তোলেন বেনজীর আহমেদ

এক সপ্তাহে ব্যাংক থেকে ১৩ কোটি টাকা তোলেন বেনজীর আহমেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, মোরনিউজবিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৭:০০ ২৯ জুলাই ২০২৪

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেশত্যাগের আগে আট দিনে কমিউনিটি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক থেকে ১২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা তুলেছেন। হাইকোর্টের জন্য তৈরি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অগ্রগতি প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের আজ সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে অগ্রগতি প্রতিবেদনটি দাখিল করার কথা রয়েছে।
দুদক গত ২২ এপ্রিল বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের দেশে-বিদেশে সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে। এই অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ২৩ থেকে ৩০ এপ্রিল আট দিনে কমিউনিটি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক থেকে ১২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা তোলেন বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী জীশান মীর্জা, মেয়ে ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর, মিজ তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীর ও মিজ যাহরা যারীন বিনতে বেনজীর গত ৩ মে পর্যন্ত দেশে ছিলেন। পরদিন তারা সিঙ্গাপুর চলে যান।
দুদকের অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়, বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে ১১৬টি ব্যাংক হিসাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে অনেক অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্যও রয়েছে। ব্যাংক হিসাবগুলোর মধ্যে চলতি, সঞ্চয়ী, স্থায়ী আমানত, বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব রয়েছে।
অনুসন্ধানে কমিউনিটি ব্যাংকের করপোরেট শাখায় বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হিসাব পর্যালোচনা করা হয়। এতে দেখা যায়, দুদক অনুসন্ধান শুরুর পরদিন থেকে দ্রুততম সময়ে ওই সব হিসাব থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। কমিউনিটি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকে চলতি হিসাব থেকে গত ২৩ থেকে ৩০ এপ্রিল আট দিনে ১২ কোটি ৭৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯৬৮ টাকা তুলেছেন বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক করপোরেট শাখার তিনটি হিসাব থেকে ২৩ থেকে ২৯ এপ্রিল সময়ে ৬ কোটি ৫২ লাখ ৭৮ হাজার ৯৬৮ টাকা তোলা হয়। এই ব্যাংকে বেনজীর আহমেদের একটি, তাঁর স্ত্রীর একটি ও বড় মেয়ের একটি হিসাব থেকে এই টাকা তুলে নেওয়া হয়।
এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখা থেকে সাউদার্ন বিজনেস ইনিশিয়েটিভের চলতি হিসাব থেকে ২৯ এপ্রিল ৩ কোটি ও ৩০ এপ্রিল ৩ কোটি ৭ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়। বেনজীরের মালিকানাধীন সাভানা ফার্ম প্রডাক্টসের চলতি হিসাব থেকেও ৩০ এপ্রিল তোলা হয় ১৪ লাখ টাকা।

দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, ঢাকা জেলা, ঢাকা মহানগর, নারায়ণগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, গাজীপুর, কক্সবাজার, খুলনায় বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও তিন মেয়ের নামে জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট, রিসোর্ট ও বাংলো রয়েছে। দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তার আবেদনে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ চার দফায় তাদের ৪৩ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন।

অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়, বেনজীর আহমেদ চাকরিজীবনে বেতন-ভাতা বাবদ ১ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা আয় করেছেন। কিন্তু চাকরিকালে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।

বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদকের একটি বিশেষ টিম। দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে টিমের অন্য দুই সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী। এই অনুসন্ধান তদারক করছেন দুদক পরিচালক (মানি লন্ডারিং) গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/