রবিবার , ০৪ মে, ২০২৫ | ২১ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৯:৩১ ৪ মে ২০২৫
যে রাষ্ট্র বছরের পর বছর ধরে দখল, আগ্রাসন ও সহিংসতার মাধ্যমে ফিলিস্তিনের অস্তিত্ব বিপন্ন করেছে, সেই রাষ্ট্র ইসরায়েলের সংকটময় মুহূর্তে এবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ফিলিস্তিন। জেরুজালেম সংলগ্ন পাহাড়ি অঞ্চলে ভয়াবহ দাবানলে যখন বনভূমি, গ্রাম ও বসতিগুলো পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে, তখন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এসেছে এক অবিশ্বাস্য মানবিক প্রস্তাব—ইসরায়েলে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় তাদের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক দল পাঠানোর।
টাইমস অফ ইসরায়েলের বরাত দিয়ে জানা যায়, এই প্রস্তাবটি সরাসরি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ দিয়েছে। যদিও ইসরায়েল এখনো সেই প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া দেয়নি। এর আগেও বড় ধরনের দাবানলের সময় ফিলিস্তিন সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিল, কিন্তু এবারের প্রস্তাব আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি এসেছে এমন এক সময়ে, যখন ইসরায়েল নিজেই আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়ে আবেদন জানাচ্ছে।
ইতিমধ্যে ইতালি ও ক্রোয়েশিয়া ইসরায়েলকে অগ্নিনির্বাপক বিমান পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সহায়তার জন্য যোগাযোগ করা হয়েছে গ্রিস, সাইপ্রাস ও বুলগেরিয়ার সঙ্গেও। এই আন্তর্জাতিক সহায়তার আবহে ফিলিস্তিনের প্রস্তাব যেন ইতিহাসের এক উজ্জ্বল মানবিক সাক্ষ্য।
একজন বিশ্লেষক মন্তব্য করেছেন, “এই আগুন শুধু বনভূমি নয়, বরং মানবতার উপর জমে থাকা ঘৃণার আগুনও প্রতিফলিত করে। সেই আগুনের বিপরীতে দাঁড়িয়ে গেছে এক জাতি, যাদের হৃদয়ে আগুন জ্বালিয়েছে ইসরায়েলই। তবু তারা আগুন নেভাতে হাত বাড়িয়েছে।”
এই ঘটনা শুধু একটি মানবিক ইশারা নয়, বরং বৈরিতা ও সংঘাতের ইতিহাসে একটি অসাধারণ ব্যতিক্রম। যেখানে প্রতিহিংসার বদলে উঠে আসে সহানুভূতি, সেখানে মানুষ হয়ে ওঠে মানুষকে রক্ষার মূল শক্তি।
এই প্রস্তাব হয়তো ইসরায়েলের নীতিনির্ধারকদের কাছে নিতান্তই একটি 'সহায়তা', কিন্তু ইতিহাসের চোখে এটি মানবতার এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়।
বিজ্ঞাপন