বৃহস্পতিবার , ০৮ মে, ২০২৫ | ২৫ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৮:৪৫ ৮ মে ২০২৫
দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে সৃষ্টি হয়েছে এক নজিরবিহীন ঘটনা। ভারতীয় বিমানবাহিনীর সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান রাফাল ভূপাতিত করেছেন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার আফ্রিদি। এই চমকপ্রদ অভিযানে তিনি একাই একটি আক্রমণকারী রাফালকে ধ্বংস করে দেন, যা বিশ্বব্যাপী সামরিক বিশ্লেষকদের নজর কেড়েছে।
ঘটনাটি ঘটে সীমান্তবর্তী আকাশসীমায়, যেখানে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি রাফাল যুদ্ধবিমান পাকিস্তানি সীমান্তে প্রবেশ করে। পাকিস্তানের রাডার সিস্টেম এটি শনাক্ত করতেই স্কোয়াড্রন লিডার আফ্রিদি তার JF-17 Thunder Block III নিয়ে আকাশে উড়ে যান। শুরু হয় এক রুদ্ধশ্বাস আকাশযুদ্ধ।
আধুনিক এভিওনিক্স ও স্টিলথ প্রযুক্তিতে সুসজ্জিত রাফালকে মোকাবিলা করা সহজ ছিল না। আফ্রিদি নিজের অতুলনীয় দক্ষতা, ধৈর্য এবং ম্যানুভারিং কৌশল ব্যবহার করে ধাপে ধাপে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করেন। দীর্ঘ ছয় মিনিটের ঘনঘন পাল্টাপাল্টি কৌশলের পর তিনি নিখুঁতভাবে AIM-120 AMRAAM ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে রাফালটির বাম ইঞ্জিনে আঘাত হানেন। সঙ্গে সঙ্গে রাফালটি বিস্ফোরিত হয়ে ভূপাতিত হয়।
বিমানটির ধ্বংসাবশেষ ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে পড়ে। ভারতীয় সেনাবাহিনী এখনো উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে, তবে পাইলটের ভাগ্য সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। পাকিস্তানি গণমাধ্যমে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আফ্রিদিকে এখন “আকাশের বাঘ” বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
ঘটনার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আফ্রিদি বলেন, “আমি দেশ ছাড়া কিছু দেখি না। আমার কাজ ছিল শত্রুর আক্রমণ ঠেকানো—আমি শুধু আমার দায়িত্ব পালন করেছি।” তার এই কথাগুলো এখন হাজারো তরুণের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ায় রীতিমতো বিস্ময় দেখা দিয়েছে। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আধুনিক প্রযুক্তির পাশাপাশি পাইলটের মানসিক দৃঢ়তা, প্রশিক্ষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ—এই ঘটনা তার বড় উদাহরণ। চীন, রাশিয়া এবং তুরস্কের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, JF-17 Thunder Block III এখন প্রমাণ করেছে যে সাশ্রয়ী মূল্যের মধ্যেও কার্যকর প্রযুক্তি সম্ভব।
স্কোয়াড্রন লিডার আফ্রিদি পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে দীর্ঘদিন কর্মরত। তার সততা, নিষ্ঠা ও সাহসিকতার জন্য তিনি আগেও প্রশংসিত হয়েছেন, তবে এবার তিনি জাতীয় বীরের মর্যাদা পেয়েছেন। ইসলামাবাদে তার জন্য একটি রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনার আয়োজন করা হচ্ছে এবং তাকে “Hilal-e-Jur’at” পুরস্কারে ভূষিত করার প্রস্তুতি চলছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, এই ঘটনা শুধু একক কোনো জয়ের উদাহরণ নয়—এটি পাকিস্তানের আকাশসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষার অঙ্গীকারের প্রতীক। এই বিজয় পাকিস্তানি জনতার মনোবল আরও দৃঢ় করবে বলেই বিশ্বাস বিশ্লেষকদের।
বিজ্ঞাপন