বৃহস্পতিবার , ০৮ মে, ২০২৫ | ২৫ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৪:৫৩ ৮ মে ২০২৫
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশ ছেড়েছেন। মোর নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন তিনি।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল সূত্র মোর নিউজকে নিশ্চিত করে জানিয়েছে, রাত ১১টার দিকেই বিমানবন্দরে উপস্থিত হন আবদুল হামিদ। এরপর ইমিগ্রেশনে যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে দেশত্যাগের সবুজ সংকেত পান তিনি।
পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) ইমিগ্রেশন বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, “আমি আজ সকালে জেনেছি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশ ত্যাগ করেছেন। তিনি যদি কোনো মামলার আসামি হয়ে থাকেন, তবে বিষয়টি আমাদের নজরে ছিল না। সাধারণত আদালতের কোনো সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা ছাড়া কাউকে যাতায়াতে বাধা দেওয়া যায় না।”
তিনি আরও বলেন, “সংবিধানের ৩৪ এবং ১০২ ধারা অনুযায়ী কোনো বাংলাদেশি নাগরিককে বিদেশে যাতায়াতে বাধা দেওয়া হলে, আদালতের নির্দেশ প্রয়োজন হয়। আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে এমন কোনো নিষেধাজ্ঞা আমরা পাইনি। কোনো মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের আবেদন বা ওয়ারেন্টও আমাদের কাছে ছিল না।”
তবে মোর নিউজের অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাবেক এই রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রয়েছে। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে প্রধান আসামি করা হয় আবদুল হামিদকে। একই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ওবায়দুল কাদেরকেও আসামি করা হয়েছে।
এর আগে, ১৪ জানুয়ারির মামলার আগে কিশোরগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধশতাধিক মামলা দায়ের হয়, তবে তাতে আবদুল হামিদের নাম ছিল না। নতুন মামলায় তার নাম উঠে আসার পরপরই তিনি দেশ ছাড়লেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতির হঠাৎ এই দেশত্যাগ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। অনেকেই মনে করছেন, মামলা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে তিনি দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন