শুক্রবার , ১৬ মে, ২০২৫ | ২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৪১ ১৬ মে ২০২৫
এক মাসের তীব্র দাবদাহে দেশের পোলট্রি খাতে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। এতে করে চরম সংকটে পড়েছেন প্রান্তিক পর্যায়ের ৭০ থেকে ৮০ হাজার খামারি। অনেকে ইতোমধ্যে খামার বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিপিএ সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, তাপপ্রবাহ, বিদ্যুৎ সংকট এবং বাজার ব্যবস্থার অস্থিরতায় সারাদেশে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে হাজার হাজার মুরগি।
বিপিএ’র তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার খামারে গড়ে ৫ থেকে ১০ শতাংশ মুরগি মারা যাচ্ছে। ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির মৃত্যুহার গড়ে ১০ শতাংশ এবং লেয়ার মুরগির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নরসিংদী, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, রংপুর, কক্সবাজার, কুমিল্লা, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, সাভার, ফেনীসহ প্রায় সব জেলাতেই প্রান্তিক খামারিরা ভয়াবহ অবস্থার মুখোমুখি হয়েছেন।
প্রতিটি খামারে গড়ে ৫০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি ধরে হিসাব করলে, সারাদেশে মোট ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।
এ অবস্থায় আগামী দিনগুলোতে দেশে ডিমের উৎপাদন ৫ শতাংশ এবং মাংস উৎপাদন ১০-১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিপিএ। যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি।
বিপিএ বলছে, দেশের ৮০ শতাংশ ডিম ও মুরগি উৎপাদন করেন প্রান্তিক খামারিরা, অথচ নীতিনির্ধারণে প্রাধান্য পাচ্ছে মাত্র ২০ শতাংশ উৎপাদনকারী করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো।
সংগঠনটির দাবি, “সরকার করপোরেট খাতের প্রতি মনোযোগী হলেও প্রান্তিক খামারিদের বাঁচাতে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। বারবার সতর্ক করার পরও নীরব অবস্থান হতাশাজনক।”
বিপিএ জানিয়েছে, এ খাতে চলমান সংকট অব্যাহত থাকলে ৭০-৮০ হাজার খামারি ঋণের বোঝা বইতে না পেরে খামার বন্ধ করতে বাধ্য হবেন, যার ফলে হুমকির মুখে পড়বে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান।
সংগঠনের পক্ষ থেকে অবিলম্বে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে—
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, “প্রান্তিক খামারিদের অস্তিত্ব ধ্বংস হয়ে গেলেও কি সরকারের টনক নড়বে না?”
বিজ্ঞাপন