সোমবার , ১১ আগস্ট, ২০২৫ | ২৬ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৮:২২ ৬ আগস্ট ২০২৫
রাজধানীর সাত সরকারি কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র অধ্যাদেশ দ্রুত জারির দাবিতে আজ বুধবার বিক্ষোভ করেছেন এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা। সকাল ১০টা থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী ঢাকা কলেজের মূল ফটকে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন।
বেলা ১১টার দিকে মিছিলটি ঢাকা কলেজ চত্বর থেকে শুরু হয়ে সায়েন্সল্যাব মোড় পর্যন্ত গিয়ে ইউটার্ন নেয়। এরপর মিছিলটি নীলক্ষেত হয়ে ইডেন মহিলা কলেজের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে আবার ঢাকা কলেজে ফিরে আসে। বিক্ষোভ শেষে শিক্ষার্থীরা এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সরকার ঘোষিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র অধ্যাদেশ এখনো জারি না হওয়ায় তারা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন। তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সাত কলেজের ‘অধিভুক্ত’ অবস্থান তাদের পরিচয় সংকটে ফেলেছে। ‘অধিভুক্তি’ শব্দটি শিক্ষার্থীদের কাছে এখন আত্মপরিচয়হীনতা ও বৈষম্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক এবং সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের ফোকাল পার্সন আব্দুর রহমান বলেন, “আমরা বহুদিন ধরে স্বতন্ত্র পরিচয়ের দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। শিক্ষা সিন্ডিকেটের কোনো ষড়যন্ত্র বরদাশত করব না। এখন সময় এসেছে আমাদের লড়াইয়ের বাস্তবায়ন দেখার।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার যখন অধ্যাদেশ প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে, তখন তা দ্রুত বাস্তবায়ন করাই উচিত। শিক্ষার্থীদের আর অনিশ্চয়তায় রাখা যাবে না।”
আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা, অধ্যাদেশ কার্যকরের প্রক্রিয়া দীর্ঘ হতে পারে। পাঁচটি ধাপ পেরিয়ে এটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে— ইউজিসির খসড়া প্রণয়ন, আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো, সংশোধন হয়ে ইউজিসিতে ফেরা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো এবং শেষে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন।
তাদের দাবি, প্রশাসনিক ধীরগতি এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা যেন অধ্যাদেশ বাস্তবায়নের পথে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ সরকার রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে পৃথক করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ গঠনের ঘোষণা দেয়। কলেজগুলো হলো— ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ।
বিজ্ঞাপন