বৃহস্পতিবার , ০৮ মে, ২০২৫ | ২৫ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৭:০২ ৭ মে ২০২৫
মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তান ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেড সদরদপ্তরে মিসাইল হামলা চালিয়ে সেটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে। এই হামলার পরপরই ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। ভারতীয় সেনাবাহিনী ও পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে, এবং দুদেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র পিটিভি চ্যানেলকে জানায় যে, ভারতীয় সেনাদের ব্রিগেড সদরদপ্তরে হামলা চালিয়ে সেটি ধ্বংস করা হয়েছে। সীমান্ত রেখা (এলওসি) সংলগ্ন দুদনিয়াল সেক্টরে ভারতের একটি সেনাচৌকি মিসাইল হামলায় ধ্বংস হয়েছে। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান ভারতের বিপরীতে মিসাইল হামলা শুরু করে এবং এসময় তাদের তিনজন নাগরিক নিহত ও ১২ জন আহত হন।
পাকিস্তানের ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, ভারত মধ্যরাতে তাদের পাঁচটি জায়গায় মিসাইল হামলা চালিয়েছে। তিনি আরও বলেন, “কোটলি, ভাওয়ালপুরের পূর্ব আহমেদপুর, বাঘ, মুজাফ্ফরাবাদ এবং মুরদিকেতেও হামলা চালানো হয়েছে। হামলার ফলে পূর্ব আহমেদপুরে এক শিশু নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছে। কোটলিতে দুই বেসামরিক নাগরিক মারা গেছেন।”
তিনি পাকিস্তানের মসজিদে হামলার দাবি করে বলেন, “ভারতের মিসাইল হামলা প্রমাণ করে যে এটি আরএসএসের হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শের একটি অংশ।” বিশেষ করে কোটলি এবং আহমেদপুরে দুটি মসজিদে হামলা করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ভারতীয় সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি অভিযান পরিচালনা করেছে। এই অভিযানে পাকিস্তানের ৯টি স্থানে হামলা চালানো হয়, যেখানে সন্ত্রাসী অবকাঠামো লক্ষ্য করা হয়েছিল। তবে ভারতীয় বাহিনী দাবি করেছে, তাদের হামলার লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু-কাশ্মিরে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কেন্দ্রে আঘাত হানতে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ওপর নয়।
ভারতের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, “এই অপারেশনটি সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংসের জন্য করা হয়েছে, যেখানে ভারত বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল। আমাদের লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কোনও ক্ষতি না করা।”
এখন পর্যন্ত কোনো দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দেয়নি, তবে পরিস্থিতি তীব্র হয়ে উঠেছে। সীমান্তে সংঘর্ষ এবং পাল্টাপাল্টি হামলা ভারতের এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি করেছে। দুদেশের মধ্যকার শান্তি ও নিরাপত্তার বিষয়টি এখন অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিজ্ঞাপন