পশু কোরবানি ছাড়াই শরীয়তপুরে ৩০ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন

পশু কোরবানি ছাড়াই শরীয়তপুরে ৩০ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক, মোরনিউজবিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৬:২৬ ৬ জুন ২০২৫

শরীয়তপুর জেলার ছয় উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রামে শুক্রবার (৬ জুন) ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন শাহ সুরেশ্বরী (রহ.) দরবার শরীফের অনুসারীরা। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে তারা প্রতি বছর ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন। তবে এই উদযাপন অন্যান্য মুসলিম সমাজের তুলনায় ভিন্নতর – কারণ তারা পশু কোরবানি দেন না।

ঈদের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বরী দরবার শরীফের মাঠে। সকাল ১০টা ও সাড়ে ১০টায় দুটি জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে ভুনা খিচুড়ি, সেমাই ও মিষ্টান্ন খাবার পরিবেশন করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন দরবার শরীফের অনুসারীরা।

সুরেশ্বরী দরবার শরীফের গদীনিশীন পীর সৈয়দ তৌহিদুল হোসাইন শাহীন নূরী জানান, তারা ঈদুল আজহা, ঈদুল ফিতরসহ সব ধর্মীয় উৎসব সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পালন করেন। তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, কোরবানির প্রকৃত তাৎপর্য হলো নিজের ভেতরের পশুত্ব—অহংকার, হিংসা, লোভ ইত্যাদি—বর্জন করা। গরু বা ছাগল কোরবানি করাই প্রকৃত কোরবানি নয়, বরং আত্মশুদ্ধিই আমাদের মূল লক্ষ্য।”

দরবার শরীফের প্রধান গদীনিশীন পীর সৈয়দ কামাল নূরী বলেন, “আমাদের পীর বাবা সুরেশ্বরী (রহ.) একটি নিয়ম রেখে গেছেন। সেই নিয়ম অনুযায়ী আমরা সৌদি আরবের তারিখ অনুসরণ করে সব ধর্মীয় উৎসব পালন করি।” তিনি আরও বলেন, “এই ঐতিহ্য বহু বছর ধরে আমাদের মধ্যে চলে আসছে এবং আমরা এটিকে যথাযথভাবে সম্মান করি।”

প্রায় ৩০ হাজার অনুসারী এই নিয়ম অনুসরণ করে প্রতি বছর দরবার শরীফের নেতৃত্বে ঈদ উদযাপন করেন। স্থানীয়ভাবে এটি কিছুটা বিতর্কিত হলেও দরবারের অনুসারীদের বিশ্বাস, তাদের ঈদ উদযাপন আত্মিক উন্নয়ন এবং ধর্মীয় দর্শনের একটি অংশ।
 

বিজ্ঞাপন