নাম বদল: ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ এখন ‘জুলাই শহীদ দিবস’

নাম বদল: ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ এখন ‘জুলাই শহীদ দিবস’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, মোরনিউজবিডি.কম
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, মোরনিউজবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৭ ২৯ জুন ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকার ১৬ জুলাই পালিত ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ করেছে। একইসঙ্গে বাতিল করা হয়েছে ৮ আগস্ট ঘোষিত ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’। রোববার (২৯ জুন) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, ১৬ জুলাইকে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ এবং ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হবে, তবে ৮ আগস্টের জন্য আর কোনো দিবস পালনের উদ্যোগ থাকছে না।

এর আগে ২৬ জুন অন্তর্বর্তী সরকার একটি পরিপত্রে তিনটি দিবস উদযাপনের ঘোষণা দেয়। সেখানে ৫ আগস্টকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের স্মরণে ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস’, ৮ আগস্টকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের স্মরণে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ এবং ১৬ জুলাইকে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের স্মরণে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা করা হয়।

তবে ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ করার ঘোষণার পর তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এনসিপি নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং জামায়াতে ইসলামীর আমির এ বিষয়ে একটি পোস্ট দেন। ‘ইনকিলাব মঞ্চ’ নামের একটি সংগঠন জানায়, ৮ আগস্ট নয়, ৫ আগস্টই হবে জাতীয় মুক্তি দিবস। তারা হুমকি দেয়, সরকার যদি ৮ আগস্ট পালনের চেষ্টা করে, তাহলে তারা ওই দিন ‘বিপ্লব-বেহাত দিবস’ পালন করবে।

সামাজিক মাধ্যমে আন্দোলনপন্থী ছাত্র ও জনতার পক্ষ থেকেও অভ্যুত্থানের মূল চেতনা ও দাবিসমূহ বাস্তবায়নে সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। এই বিতর্ক ও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতেই রোববারের বৈঠকে ৮ আগস্টের দিবসটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, অন্তর্বর্তী সরকার ইতিহাসের ধারাকে ধরে রাখার চেষ্টা করছে, তবে জনআকাঙ্ক্ষার প্রতি আরও সংবেদনশীল না হলে এইসব সিদ্ধান্ত জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি ও অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। ইতোমধ্যে ৫ আগস্ট ও ১৬ জুলাই উদযাপনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

বিজ্ঞাপন