সোমবার , ১১ আগস্ট, ২০২৫ | ২৬ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৩১ ৩ আগস্ট ২০২৫
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের লোকজন পাশের দেশে আশ্রয় নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। রবিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে ছাত্রদলের আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে তিনি এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “আমাদের পাশের দেশে ফ্যাসিস্ট হাসিনা তাদের লোকজন নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে বসে তারা দেশের মধ্যে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের সেসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, এখন সবচেয়ে বড় লড়াই একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও দাবি করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারণ করেছেন। “গোটা দেশের মানুষ অপেক্ষা করছে, কবে তারেক রহমান সাহেব দেশে ফিরবেন,”— বলেন ফখরুল।
তিনি বলেন, “শুধু ৩৬ দিন নয়; গত ১৫ বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে। তাদের এই আত্মত্যাগের লক্ষ্যই ছিল একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়া।”
ছাত্রদলের এই সমাবেশে শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হয় এবং জুলাইয়ের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচি শুরু হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির স্মরণ করেন সংগঠনের আন্দোলনে শহীদ হওয়া নেতাকর্মীদের।
দুপুর ৩টার দিকে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন মির্জা ফখরুল। এর আগেই মঞ্চে ছিলেন বিএনপির সিনিয়র নেতা শামসুজ্জামান দুদু, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতারা। সমাবেশ শুরু হওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা আগেই শাহবাগ মোড় ও আশপাশের এলাকা ভরে যায় বিপুল সংখ্যক ছাত্রদল কর্মী-সমর্থকে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবারের সমাবেশে ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড ছাড়া বিভিন্ন ইউনিট ও জেলা শাখার নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
বিজ্ঞাপন