Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

নির্যাতনের ১৩ বছর পর মামলা করতে থানায় বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন

নির্যাতনের ১৩ বছর পর মামলা করতে থানায় বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন

নির্যাতনের ১৩ বছর পর মামলা করতে থানায় বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, মোরনিউজবিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৯:২৬ ১৯ আগস্ট ২০২৪

২০১১ সালের ৬ জুলাই সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে পুলিশের লাঠি পেটায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। বর্তমানে তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা।

সেদিনের ঘটনায় জড়িত ছিলেন তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) বর্তমানে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ ও তৎকালীন সহকারী কমিশনার (এসি) ও বর্তমানে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

শেখ হাসিনার সরকার পতন ও তার দেশত্যাগের পর এই দুই কর্মকর্তাসহ দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করতে শেরে বাংলা নগর থানায় উপস্থিত হয়েছেন বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে থানা পুলিশ সদর সূত্রে জানা গেছে। লিখিত অভিযোগ শেষে তিনি বাইরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন। সরেজমিনে থানার বাইরে হাজারো স্থানীয় নেতাকর্মীদের স্লোগান দিতে দেখা যায়।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৬ জুলাই সকালে জয়নাল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বে বিরোধী দলের ১৫-২০ জন সংসদ সদস্য মানিক মিয়া এভিনিউয়ের সামনে জড়ো হোন। ভোরবেলা তারা হেঁটে সংসদ ভবন এলাকা থেকে ফার্মগেট এলাকায় পৌঁছান। পরে ফার্মগেট থেকে তারা আবার মানিক নিয়ে এভিনিউয়ে ফিরে যান। এ সময় হঠাৎ করে একটি বাস লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়।

পরে তৎকালীন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ডিসি ইমাম হোসেন, সহকারী উপকমিশনার হারুন অর রশিদ ও মোহাম্মদপুর অঞ্চলের সহকারী কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার সংসদ সদস্যদের সামনে গিয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা করেন।

এ সময় পুলিশের সঙ্গে জয়নাল আবদিন ফারুকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায় পুলিশ জয়নাল আবদিন ফারুকের দিকে তেড়ে যায়। আরও কয়েকজন পুলিশ তার দিকে এগিয়ে গেলে ধস্তাধস্তি শুরু হয় এবং তিনি মাটিতে পড়ে যান। পুলিশের কয়েকজন সদস্য তাকে লাথি মারেন এবং তাকে ধরে টানা হ্যাচরা করতে থাকেন। এ সময় ফারুকের গেঞ্জি খুলে যায়। একপর্যায়ে একজন পুলিশ সদস্যের লাঠির আঘাতে তার মাথা ফেটে যায়।

ফারুকের মাথায় রক্ত দেখে নারী সংসদ সদস্যরা তাকে নিয়ে ন্যাম ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ আবার এগিয়ে এলে জয়নাল আবেদিন আত্মরক্ষায় ন্যাম ভবনের দিকে দৌড় দেন। পুলিশ ও তার পিছু নিয়ে আবার সেখানে গিয়ে ওপর হামলা চালায়। পুলিশ জয়নাল আবদিন ফারুককে চ্যাং দোলা করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যান।

এরপরে ফারুককে উদ্ধার করে নারী এমপি পাপিয়া আশরাফিয়ার ন্যাম ভবনের বাসায় নিয়ে যান। এরপর কয়েক ঘণ্টা পর সকাল ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করার পর আদালত এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
থানায় মামলা না নেয়ায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

ফারুককে মারধর ও হত্যা-চেষ্টার অভিযোগে বিএনপির সংসদ সদস্য আশরাফউদ্দিন নিজান মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে ঢাকার একটি থানা এ সংক্রান্ত মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।

২০১১ সালের ১০ জুলাই ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে দায়ের করা মামলায় পুলিশের ত্রিশজনের মতো সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ছিলেন প্রধান অভিযুক্ত দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ও বিপ্লব কুমার সরকার।

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/