শনিবার , ৩১ মে, ২০২৫ | ১৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৫:২১ ২৯ মে ২০২৫
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বনির্ভরতা, উন্নয়ন এবং জাতীয়তাবাদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। অথচ আজও সেই গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন যাত্রা পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়।
খালেদা জিয়া বলেন,"প্রতি বছর মে মাসের এই দিনটি আমাদের পরিবারের জন্য বেদনার্ত স্মৃতিবাহী। কিন্তু এই শোক শুধু আমাদের পরিবারের নয়, সমগ্র জাতির। কারণ, এই দিনে জাতি হারিয়েছিল একজন দেশপ্রেমিক, সৎ, সাহসী এবং দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ককে।"
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন,“চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যিনি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, সেই জিয়াউর রহমানই রাষ্ট্র পরিচালনায় সততা ও দক্ষতার মাধ্যমে বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদাশীল একটি রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের সেই যাত্রা ষড়যন্ত্রে বারবার থমকে গেছে।”
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন,"আমরা আজও দেখি, দেশে মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে, সংবাদমাধ্যমগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে, বিচার বিভাগের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এভাবে গণতন্ত্র এগিয়ে যেতে পারে না। শহীদ জিয়ার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের সম্মিলিত প্রয়াস চালাতে হবে।”
তিনি বলেন,"আমি বিএনপির সব পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি— গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আরও সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসুন। শহীদ জিয়ার রেখে যাওয়া আদর্শিক ভিত্তিকে শক্তি হিসেবে ধারণ করুন। গণতন্ত্র ও উন্নয়নের মাধ্যমে সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব। সেই রাজনীতিকেই অনুসরণ করুন।”
শেষে খালেদা জিয়া বলেন,“এই হোক শহীদ জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকীতে আমাদের অঙ্গীকার— বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক, স্বাধীন ও আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা।”
বিজ্ঞাপন