বৃহস্পতিবার , ১৫ মে, ২০২৫ | ১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৩৩ ১৫ মে ২০২৫
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৬ মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ৫,৪০২ জন পাকিস্তানি ভিক্ষুককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিক্ষুক ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি আরব—সংখ্যাটি ৫,০৩৩ জন। অর্থাৎ, মোট ফেরত পাঠানো ভিক্ষুকদের প্রায় ৯৩ শতাংশই সৌদি আরব থেকে ফেরত এসেছে।
সৌদি আরব ছাড়াও, ইরাক থেকে ২৪২ জন, মালয়েশিয়া থেকে ৫৫ জন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৪৯ জন ভিক্ষুককে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়েছে। শুধু ২০২৫ সালেই এখন পর্যন্ত ৫৫২ জন পাকিস্তানি ভিক্ষুককে বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে সৌদি আরব থেকে এসেছে ৫৩৫ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৯ জন এবং ইরাক থেকে ৫ জন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব ভিক্ষুকের বেশিরভাগই অবৈধভাবে বিদেশে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে লিপ্ত হন। বিষয়টি দেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে সরকার মনে করে। তাই এ প্রবণতা রোধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে পাকিস্তান সরকার।
সরকারের উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে—বিদেশে ভিক্ষুক পাঠানোর পেছনে থাকা চক্রগুলোকে শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িতদের পাসপোর্ট ও ভিসা প্রক্রিয়ায় কড়াকড়ি আরোপ এবং বিদেশে ভিক্ষাবৃত্তিকে মানব পাচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।
এছাড়া, পাকিস্তানের সিনেটে একটি প্রস্তাবিত বিল উত্থাপন করা হয়েছে যেখানে বিদেশে সংগঠিত ভিক্ষাবৃত্তিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিলটিতে ভিক্ষাবৃত্তিকে মানব পাচারের শামিল হিসেবে বিবেচনা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, এই পদক্ষেপগুলো শুধু দেশের মর্যাদা রক্ষাই নয়, বরং অবৈধ অভিবাসন ও মানব পাচারের মতো গুরুতর সমস্যাগুলো রোধেও সহায়ক হবে।
বিজ্ঞাপন