Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি, মাদারীপুর
জেলা প্রতিনিধি, মাদারীপুর

প্রকাশিত: ১২:২৮ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মাদারীপুরের কালকিনিতে খাসের হাট সৈয়দ আবুল হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ বোর্ড গঠন করে অর্থের বিনিময়ে অনিয়ম-দুর্নীতি, জালিয়াতি করে পছন্দের প্রার্থীকে কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ জন্য এই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুন-অর রশিদ  ও সাবেক সভাপতিকে অবৈধ নিয়োগ বাতিল করে বৈধভাবে নিয়োগের জন্য দাবি জানান বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্যরা এবং নিয়োগ বঞ্চিতরা ও সচেতন এলাকাবাসী।

এদিকে এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির দাতা সদস্য, অভিভাবক ও সচেতন মহলরা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগ বাতিলের দাবিতে লিখিত অভিযোগ দেন। লিখিত অভিযোগ ও স্কুল সূত্র জানা যায়, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গেল (১০ আগস্ট) দেশের অস্থিশীল পরিস্থিতিকে তোয়াক্কা না করে অতি গোপনে কলেজের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ এবং মাদারীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ তাদের যোগসাজেসে উপজেলার খাসের হাট সৈয়দ আবুল হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ পদে লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।এদিকে ১১ তারিখে নিয়োগপত্র প্রদান করেন।ভূয়া ভাউচার তৈরি করে কলেজে টাকা ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যে সকল বেতন ভাতা উত্তোলন করা হতো সেগুলোই স্কুল ফান্ডে জমা না দেওয়াসহ বিভিন্ন ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

লিখিত অভিযোগ, এলাকাবাসী ও অভিভাবক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, দাতা সদস্য সূত্রে জানা যায়, কালকিনি উপজেলার খাসের হাট সৈয়দ আবুল হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুন-অর রশিদ ও ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও মাদারীপুর সরকারি নাজিম উদ্দিন কলেজের ছাত্রলীগের সাবেক ভি.পি ছিলেন। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাপের ক্ষমতা বল প্রয়োগ করে হয়েছিলেন এই কলেজের সভাপতি।

তাদের যোগসাজসে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম এবং অর্থের বিনিময়ে ১০ আগস্ট  তড়িঘড়ি করে এক দিনের মধ্যে  অধ্যক্ষ পদে ইয়ামিন ঢালী নামের এক ব্যক্তিকে নিয়োগের কার্যক্রম শেষ করেছেন।যেখানে এ পদে একাধিক লোক আবেদন করা কথা থাকলেও সেখানে তিনজন মাত্র আবেদন করেছেন আর এই তিনজনেই  ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের আত্মীয় হন।এর ফলে তিনি তার এক আত্মীয়কে ইয়ামিন ঢালীকে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করেন। পরে ১১ই আগস্টে তাকে যোগদান পত্র প্রদান করেন।এ নিয়ে কমিটি এবং এলাকাবাসীর মাঝে আলোচনা এবং সমালোচনার সৃষ্টি হয়। নিয়োগ বাতিলের দাবিতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের লিখিত অভিযোগ দেন। এ বিষয়ে এলাকাবাসী বলেন, এই নিয়োগের জন্যই নিজের পছন্দের লোকজন দিয়ে গোপনে নিয়োগ বোর্ড গঠন করেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ। ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মাসুদ খানসহ বেশ কয়েকজন সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, গোপনে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তথ্য গোপন রেখে এই নিয়োগকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে। ৫ সদস্যের যে নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অবৈধ বলে দাবি করেন তিনি।


এ বিষয়ে বিদ্যালয় আরেক সদস্য মোজাফর বলেন, অধ্যক্ষ আমাদের নিয়োগ বোর্ড ও নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ সর্ম্পকে কোনও কিছুই অবগত করেনি। প্রতিষ্ঠানের সম্মান ক্ষুন্ন করে দুর্নীতি অনিয়মের মাধ্যমে কৌশলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আলহাজ্ব বাবুল আকন বলেন, নিয়োগ বোর্ডে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচিত অভিভাবক সদস্যদের বাদ দিয়ে  নিয়োগ বোর্ডের সদস্য করেছেন ডি.জি এর প্রতিনিধি  মাদারীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ জামান মিয়া,ডিসির প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা প্রশাষক শিক্ষা, সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুন-অর রশিদ।  সাবেক সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আর কিছু গভর্নিং বডির সদস্য ও শিক্ষকরা মিলে মোটা অংকের টাকা নিয়ে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন নিয়োগ বঞ্চিত একাধিক প্রার্থীরা। তারা আরও অভিযোগ করেন, নিয়োগে ২০ লাখ টাকার বাণিজ্যসহ  সবাই স্কুলের বিভিন্ন বিভিন্ন খাতের  টাকা আত্মসাৎ করেছে। এদিকে খাসের হাট সৈয়দ আবুল হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুন-অর রশিদ বলেন, আমি বৈধ ভাবে নিয়োগ দিয়েছি। তবে প্রার্থীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা ঘুষ হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান। খাসের হাট সৈয়দ আবুল হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুন-অর রশিদের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও কোন সারা মেলেনি। ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সব কিছু বিধি মোতাবেক হয়েছে। স্বচ্ছভাবে প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’কিছু দুষ্কৃিত লোক আমাকে হেনস্থা করার জন্য এগুলো বলে। নিয়োগের দিন আমাদের একজন উকিল মারা গেছে আমি উকিল মানুষ তার জানাযায় গিয়েছিলাম। ডিজি এর প্রতিনিধি মাদারীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ জামান মিয়া বলেন,নিয়োগ-বাণিজ্য এবং অর্থের বিষয় নিয়োগ হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। এটা তারা বলতে পারে। এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস বলেন,শুনেছি নিয়োগ বাতিলের দাবি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।এ বিষয়ে যদি আমার কাছে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করার অনুমতি আসে তাহলে অবশ্যই খতিয়ে দেখব। মাদারীপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ বলেন,  কালকিনি খাসেরহাট সৈয়দ আবুল হোসেন স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যক্ষ  নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে এখনও কোন অভিযোগ পায়নি।অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/