শুক্রবার , ০২ মে, ২০২৫ | ১৯ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৬:৪৯ ২৬ অক্টোবর ২০২৪
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় (৫ আগস্ট) বিজয় মিছিলে হামলা মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের সাবেক এমপি হাছান ইমাম খান ওরফে সোহেল হাজারীর পিএস শান্ত ইসলামকে গ্রেপ্তারের দিনই জামিন দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালিহাতী পৌরসভার সিলিমপুর মধ্য পাড়া এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মোহাম্মদ হাছান ইমাম খান ওরফে সোহেল হাজারীর পিএস শান্ত ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর তাকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আনন্দ মিছিলে হামলা মামলার এক নম্বর আসামি হিসেবে পুলিশ টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করে।
আদালত বন্ধ থাকলেও এ দিন বিকেলেই সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলামের আদালতে তোলা হলে তার জামিন মঞ্জুর করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময়ে সাবেক এমপি হাছান ইমাম খান ওরফে সোহেল হাজারীর হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শান্ত।
আওয়ামী লীগের কোনো পদে না থাকলেও ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।
তার বিরুদ্ধে কালিহাতী উপজেলায় কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব, বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছিনতাই, মাদক ব্যবসা ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।
এলাকায় তিনি ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিভিন্ন ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও রয়েছে।
এর আগে গত (১৮ আগস্ট) শান্ত ইসলামকে প্রধান আসামি করে কালিহাতী থানায় মামলা দায়ের করেন হামলায় আহত শিক্ষার্থী মেহেরাব ইসলাম তারেকের বাবা মমিনুল ইসলাম।
সম্প্রতি এই মামলার আরও কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হলেও তাদের জামিন বাতিল হয়েছিল।
আর মামলার প্রধান আসামি ও কয়েকটি মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও তার জামিন হওয়ার ঘটনায় হতবাক মামলার বাদী।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল কোর্ট উপ-পরিদর্শক (এসআই) খলিলুর রহমান বলেন, থানা পুলিশ আসামি শান্তকে আদালতে প্রেরণ করে। বন্ধের দিন একজন বিচারক থাকেন।
পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলামের আদালতে তোলা হয়।
আমি ও রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতে তার জামিনের বিরোধিতা করেছিলাম। জামিন দেওয়ার বিষয়টি আদালতের বিচারকের।
এ ব্যাপারে কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম ভূঁইয়া জানান, শান্তকে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত (৫ আগস্ট) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আনন্দ মিছিলে হামলার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। এই মামলায় তিনি প্রধান আসামি।
এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা রয়েছে, তবে সেগুলোতে তিনি জামিনে আছেন।
বিজ্ঞাপন