বুধবার , ২৩ জুলাই, ২০২৫ | ৮ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:২৮ ২২ জুলাই ২০২৫
নাটোরের লালপুর উপজেলার হালুডাঙ্গা শ্রীশ্রী মহাশ্মশান কালীমন্দিরে কালীপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যার পর থেকে মঙ্গলবার ভোররাতের মধ্যে কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা প্রতিমাটি ভেঙে ফেলে। মন্দির কমিটির সূত্রে জানা গেছে, মাটির তৈরি প্রায় ১০ ফুট উচ্চতার প্রতিমাটি মন্দিরের ছাদযুক্ত পাকা ভবনের ভেতরে স্থাপিত ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় নিয়ম অনুযায়ী পুরোহিত সন্ধ্যাবাতি জ্বালিয়ে বাড়ি ফেরেন। পরদিন সকাল ৬টার দিকে অর্পণ কুমার নামের এক ব্যক্তি প্রতিমাটি ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ এবং মন্দির কমিটির সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে জড়ো হন।
ঘটনার খবর পেয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান ও থানার ওসি মোমিনুজ্জামান মন্দির পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন।
মন্দির কমিটির সভাপতি নরেশ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, “সন্ধ্যায় আমি নিজেই সন্ধ্যাবাতি দিয়েছি। তখন প্রতিমাটি অক্ষত ছিল। আজ সকালে আমার ভাতিজা গিয়ে দেখে যে প্রতিমাটি সম্পূর্ণ ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে।” তিনি আরও বলেন, “মন্দিরে লোহার গেট থাকলেও বাইরে থেকেই কিছু দিয়ে টেনে প্রতিমাটি ভাঙা হয়ে থাকতে পারে। আমরা এখনই কাউকে সন্দেহ করছি না। পুলিশ তদন্ত করুক।”
এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি দীপেন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “মন্দিরটি মাঠের মধ্যে এবং এটি শ্মশানঘাট সংলগ্ন হওয়ায় সেখানে কোনো পাহারাদার বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই, এমনকি নেই সিসিটিভিও। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।”
লালপুর থানার ওসি মোমিনুজ্জামান জানান, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত ও তথ্য সংগ্রহ করেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। দোষীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়দের মাঝে এই ঘটনায় চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সঠিক তদন্ত এবং প্রতিমা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন