বৃহস্পতিবার , ০৮ মে, ২০২৫ | ২৫ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৫:১১ ৮ মে ২০২৫
সকাল হতেই বিস্ফোরণের শব্দে তীব্র আতঙ্ক ছড়াল পাকিস্তানের লাহোরে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল শহরের গোপালনগর এবং নাসিরাবাদ এলাকা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বিস্ফোরণের পর আকাশে ঘন ধোঁয়ার কুন্ডলী দেখা গেছে। আতঙ্কে ঘরের বাইরে ছুটে আসেন বহু স্থানীয় বাসিন্দা। এখনও পর্যন্ত এই বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানা না গেলেও, পাকিস্তান পুলিশের একটি সূত্রে অনুমান করা হয়েছে যে, ৫-৬ ফুট দীর্ঘ একটি ড্রোনের মাধ্যমে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়ে থাকতে পারে।
জিও নিউজ এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেহভাজন ড্রোনটিকে গুলি করে নামানো হয়েছে। তবে বিস্ফোরণে কেউ হতাহত হয়েছেন কি না, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত কোনও তথ্য নেই। বিস্ফোরণের জায়গাগুলির কাছেই রয়েছে লাহোরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেনাঘাঁটি—যা ঘটনাটিকে আরও জটিল করে তুলেছে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
ঘটনার পর পরই করাচি, সিয়ালকোট ও লাহোর বিমানবন্দরে বিমান চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। যদিও পাকিস্তানের প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি যে বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে এর সরাসরি কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না।
ঘটনাটি ঘটে এমন এক সময়ে, যখন ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আওতায় পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে সামরিক প্রত্যাঘাত চালিয়েছে। ভারতীয় সেনার দাবি, পাকিস্তানের অন্তত ৯টি জায়গায় অভিযান চালিয়ে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এই প্রত্যাঘাত এসেছে ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সংঘটিত জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে, যেখানে ২৬ জন পর্যটক প্রাণ হারান।
এই বিস্ফোরণগুলির সঙ্গে ভারতীয় অভিযানের কোনও সংযোগ রয়েছে কি না, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে বিষয়টি ঘিরে পাকিস্তান প্রশাসনের মধ্যে উদ্বেগ এবং চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বর্তমানে গোটা লাহোরজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পাকিস্তানের সন্ত্রাস দমন ইউনিট ও সেনাবাহিনী। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে উপমহাদেশের দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে।
বিজ্ঞাপন