আ.লীগকে ফেরাতে ভারতের মহাপরিকল্পনা ফাঁস!

আ.লীগকে ফেরাতে ভারতের মহাপরিকল্পনা ফাঁস!

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৮:৪৫ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করে শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগ। এবার শুধু দেশীয় পরিকল্পনা নয়, সরাসরি ভারতের সহায়তায় শুরু হয়েছে এই মহাপরিকল্পনা। দিল্লির নীতিনির্ধারক মহল ও ভারতের তথাকথিত ‘ডিপ স্টেট’ প্রকাশ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা জোরদার করা হচ্ছে।

গত শনিবার দিল্লিতে ভারতীয় থিংকট্যাংক গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডিফেন্স নিউজ একটি সেমিনারের আয়োজন করে। কূটনৈতিক সূত্র জানায়, এই সেমিনারের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা, অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে ফেলা এবং আওয়ামী লীগকে আন্তর্জাতিক মহলে পুনরায় গ্রহণযোগ্য করে তোলার পরিবেশ তৈরি করা। ভারত এবার শুধু বক্তব্য কিংবা পরোক্ষ সমর্থনে সীমাবদ্ধ নেই—সরাসরি বাংলাদেশের কিছু বিতর্কিত ব্যক্তিকে ব্যবহার করছে।

সেমিনারে অংশ নেন ভারতের সামরিক কর্মকর্তা, প্রশাসনিক আমলা ও থিংকট্যাংকের প্রতিনিধি ছাড়াও চারজন বাংলাদেশি: সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল হাসান, শিক্ষাবিদ ড. আবুল হাসনাত মিল্টন, সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হাউ আল রশিদ এবং ব্যারিস্টার তানিয়া আমির। কূটনৈতিক মহল মনে করছে, ভারতের ডিপ স্টেট এবার বাংলাদেশের ভেতরের রিসোর্সকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক প্রপাগান্ডাকে আরও শক্তিশালী ও বিশ্বাসযোগ্য করতে চাইছে।

সেমিনারের কনসেপ্ট নোটে দাবি করা হয়, ১৯৭১ সালের পর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে গভীর থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতি দুই দেশের সম্পর্ককে এক "বিশেষ সন্ধিক্ষণে" দাঁড় করিয়েছে। আরও বিস্ময়করভাবে, ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ দাবি করেছেন, ভবিষ্যতে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্ভাব্য যুদ্ধের সূচনা হতে পারে বাংলাদেশ থেকে। কূটনৈতিক মহল এই বক্তব্যকে অশুভ ইঙ্গিত হিসেবে দেখছে—বাংলাদেশকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করার হুমকি দিয়ে ভারতের কর্তাব্যক্তিরা প্রকাশ্যেই হস্তক্ষেপের বার্তা দিচ্ছেন।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলা চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ভারত সেমিনারের নামে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। এর উদ্দেশ্য একটাই—আওয়ামী লীগকে যেকোনো মূল্যে ফেরানো।”

বিজ্ঞাপন