শনিবার , ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২২ ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৬:৫৮ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের কথা শুনলেই অনেকের মনে আসে বঙ্গোপসাগরের নীল ঢেউ আর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ব্যস্ততা। কিন্তু এই কৌশলগত এলাকায় ভারতীয় সংস্থা আদানি গ্রুপের জন্য ৯০০ একর জমি বিনামূল্যে হস্তান্তরের বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন উঠেছে।
বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) জানিয়েছে, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে ভারতের বিশেষ আমন্ত্রণে দিল্লি সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি দেন। প্রথমে ১,০৫৫ একর জমির কথা থাকলেও পরে তা কমিয়ে ৯০০ একর জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২০১৯ সালে আদানি বন্দর ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়। ২০২২ সালে আরও একটি চুক্তিতে ঠিক করা হয়, প্রকল্পে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের ৬৫ শতাংশ ভারত থেকে আমদানি করতে হবে। অর্থাৎ প্রকল্পের সব কাজই ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকবে, বাংলাদেশ কেবল পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় থাকবে।
এলাকার সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন। স্থানীয় কৃষকরা জমি হারানোর ভয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সামরিক বিশ্লেষক মেজর (অব.) মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, “শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য শেখ হাসিনা ভারতের জন্য এত বড় জমি দিয়েছেন। বাংলাদেশ এখানে কোনো স্বার্থ রাখে না।”
গবেষক মুজাহিদুল ইসলাম আরও যোগ করেছেন,“এই প্রকল্পের কারণে মীরসরাইয়ে একটি ছোট ভারত গড়ে উঠতে পারে, যা দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি।”
বর্তমানে প্রকল্পটি স্থগিত রয়েছে এবং পুনঃমূল্যায়নের প্রক্রিয়ায় আছে। স্থানীয়রা ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকায় প্রবেশ করতে পারছেন। এছাড়া ৭০০ একর জমি এখন মুক্ত রয়েছে।
বিজ্ঞাপন